সাতক্ষীরায় জামায়াতের কর্মীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি ও এসপির বিরুদ্ধে মামলা



 সাতক্ষীরা–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাতক্ষীরার সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবীর

সাতক্ষীরা শহরের কাশেমপুর এলাকার জামায়াতের কর্মী শহিদুল ইসলামকে (৪০) গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার ১০ বছর পর শহিদুলের বড় ভাই ইমাদুল হক আজ বুধবার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৩২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলাটি করেছেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আকবর হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা সদরের আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক, উপপরিদর্শক স্বপন কুমার দাশ, কনস্টেবল রথিম চন্দ্র শারমা, শাহমুদ শারমা, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান, তাঁর ভাই আবদুল হান্নান, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, একই ইউপির আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী, শিবপুর ইউপির সদস্য মো. আবদুল হাই, উত্তর দেবনগর গ্রামের মো. হুমায়ুন কবীর, মো. মোতালেব সরদার, সাতানি গ্রামের মো. মিজানুর রহমান বিশ্বাস, বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামন, ঘোনা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, কয়রা ইউপির চেয়ারম্যান টিংকু মোল্লা, সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়ার জি এম আবদুল গফুর, তালবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমান, পলাশপোল এলাকার শেখ আবদুল সোবহান, বাঁশঘাটা গ্রামের মইরুল ইসলাম, মিরগীডাঙ্গার মো. আবদুল রশিদ, মো. নরুল আমিন ও ইন্দিরা গ্রামের আবদুল মান্নান। পুলিশ সদস্য ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সদস্য।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আসামিরা কালো মাইক্রোবাসে এসে শহিদুল ইসলামকে কাশেমপুরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাঁরা তাঁকে গুলি করে হত্যার পর লাশ যশোর শহরের উপকণ্ঠের পিকনিক কর্নারের সামনে ফেলে রেখে যান। খবর পেয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ শহিদুল ইসলামের লাশ তাঁর ভাই ইমাদুল হকের কাছে হস্তান্তর করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেছিলেন, গুলির আঘাতে শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url