রুশ হামলার সময় ইউক্রেনের এফ–১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, বৈমানিক নিহত
পশ্চিমা মিত্রদের থেকে পাওয়া ইউক্রেনের একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে এ তথ্য জানায়।
গত সোমবার রাশিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বৈমানিক ওলেকসি মেস নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
এ মাসের শুরুর দিকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের একটি চালান ইউক্রেনে এসে পৌঁছায়। বিমানগুলোর একটি প্রথমবারের মতো বিধ্বস্ত হলো।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি, শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ নয়। সোমবার আকাশপথে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলার সময় যুদ্ধবিমানটির বৈমানিক তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোন ধ্বংস করেন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, দুর্ভাগ্যবশত নিজের জীবনের বিনিময়ে ওলেকসি রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইউক্রেনের মানুষকে বাঁচিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ–১৬ যুদ্ধবিমানটি রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করার জন্য নিয়োজিত ছিল।
রাশিয়ায় অভ্যন্তরে আরও দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছে এ সপ্তাহে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ইউক্রেন।
নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষাপ্রধান অটো ইচেলশেইম নিশ্চিত করেছেন, নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনকে ২৪টি এফ–১৬ বিমান দেবে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন রকম অস্ত্র সরবরাহ করা হতে পারে। মানবিক আইন বাদে এ ধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহারে কোনো বাধা থাকবে না। এর অর্থ হলো রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে আরও বড় হামলা চালাতে পারবে ইউক্রেন।
চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা করেছিলেন, পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিশ্রুত এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান হাতে পেয়েছে কিয়েভ। সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে ব্যবহৃত রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url