মমতার বক্তব্যকে দেশবিরোধী বলল বিজেপির নারী শাখা
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে বিজেপির নারী শাখা। এই বিক্ষোভ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বিজেপির সংসদ সদস্য অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘তিনি যেভাবে কথা বলছেন, তা দেশবিরোধীদের ভাষা। যদি অন্য কেউ এ ধরনের কথা বলতেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হতো।’
মমতার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে কিছু সংবাদমাধ্যম অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কারণ, তারা গণতন্ত্রকে হুমকি দিচ্ছে। তারা পশ্চিমবঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আরও একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আইন ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির দাবিও জানিয়েছেন।
চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় কলকাতায় টানা তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। আজও বিক্ষোভ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। বিজেপির নারী শাখা রাজ্য নারী কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। দলটির অভিযোগ, এ ঘটনার পর নারী কমিশনের অবস্থান পক্ষপাতমূলক।
ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিংয়ে মমতার পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করে বিজেপি। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও আজ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। বিকেলে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত নারীসমাজের এক প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, হুমকির অভিযোগ
নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। তবে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের অভিযোগ, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
টিএমসিপি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার মুখ্য আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের নেতৃত্বে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে দাবি করে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলছেন, আর জি কর হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মোস্তাফিজুরের গভীর সম্পর্ক আছে।
এদিকে আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি। মালদহ মেডিকেল কলেজে বদলি করা হলে সেখানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভের মুখে তিনি সেখানে যোগ দিতে পারেননি।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url