জাহাঙ্গীরনগরে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

 


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ ও নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়। এটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে ক্যাম্পাসের বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলে ফেরার পথে খালেদা জিয়া হল-সংলগ্ন রাস্তায় এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হন। ঘটনার দুদিন পরও জড়িত ব্যক্তিদের এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি।  

আজকের সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলোয় পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ ফটক ও পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘২৫ আগস্ট আমাদের এক ছোট বোন হলে যাওয়ার পথে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটা দুর্বল হলে হলের রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে! নিপীড়কদের চিহ্নিত করার জন্য প্রান্তিক গেটে গেলে সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যায়নি। ২০ মাইল এলাকার গেটগুলোয় নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুকে পোস্ট করার পর জানতে পেরেছেন, গত সপ্তাহেও একজন এ রকম যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এপ্রিলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বান্ধবীসহ তিনি চৌরঙ্গীর রাস্তা হয়ে হলে ফিরছিলেন। এমন সময় হলের রাস্তায় একজন পার হওয়ার সময় তাঁর বুকে হাত দেন। পেছন ফিরে তাকাতেই তিনি দৌড়ে ভিসির বাসভবনের দিকে পালিয়ে যান। রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো না থাকায় তাঁকে চিনতে পারেননি। ভিসির বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করেও তাঁকে স্পষ্ট দেখা যায়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, ছাত্র অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাস্তবতার তৈরি হয়েছে। এই বাস্তবতাকে কলঙ্কিত বা অস্বীকার করার জন্য, এই সময়ে নারী শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ নয়, তা প্রমাণ করার জন্য কোনো কোনো মহল তৎপর হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে যেহেতু কোনো প্রশাসন নেই, তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url