গাজীপুরে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা

 


ওপরে বাঁ থেকে—শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ ক ম মোজাম্মেল হক; নিচে বাঁ থেকে—জাহিদ আহসান রাসেল, সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি
ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে গাজীপুরে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ২০ জুলাই নিহত নজরুল ইসলামের (৩২) স্ত্রী মোছা. পূর্ণিমা বেগম বাদী হয়ে আজ বুধবার বাসন থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, সিমিন হোসেন রিমি, রুমানা আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আখতার উজ্জামান, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান, আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার ওরফে রিপন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার প্রমুখ।
নিহত নজরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বারইভাগ এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাহাবুদ্দিন মণ্ডলের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে ঘর থেকে বের হন। তিনি ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের পূর্ব পাশে চান্দনা এলাকায় পশমী সোয়েটার গার্মেন্টসের পাকা রাস্তার ওপর সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে প্রথম ১৬ জন আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন। তাঁরা হত্যার উদ্দেশে কিল-ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে একাধিক আন্দোলনকারীকে জখম করেন। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে নজরুল ইসলাম তাঁর পিঠের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
পরিবারের লোকজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় এবং দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকায় থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে বাদী উল্লেখ করেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url