শেখ হাসিনার নির্দেশেই মাটিতে মিশিয়া দেয়া হয়েছিলো রানা প্লাজা! | Rana Plaza

 





রানা প্লাজা ধসে পড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনাগুলোর একটি। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবনটি ধসে পড়ে, যেখানে কয়েক হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক কাজ করছিলেন। এই ঘটনায় ১১৩৪ জনেরও বেশি শ্রমিক মারা যান এবং বহু শ্রমিক আহত হন।

রানা প্লাজার এই ট্র্যাজেডির পর ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, এবং এর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন সময়ে গুজব রটেছিল যে, শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই রানা প্লাজার অবশিষ্টাংশ মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখতে না পারে।

তবে সরকারিভাবে এই দাবির সত্যতা কখনোই প্রমাণিত হয়নি। বরং, রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার পেছনে মূলত জনস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার কারণ ছিল। ধ্বংসাবশেষ এলাকায় জীবাণু ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারত।

রানা প্লাজা ধসের পর সরকার তাত্ক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিধির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক মহলও এই দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এবং এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা নিছকই জনশ্রুতি। তবে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে থেকে যাবে এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি বড় শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url