শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শের-ই–বাংলা মেডিকেলে ৬ জনের ইন্টার্নশিপ স্থগিত

 

বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাপাসাতালের চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া লিখিত দাবি মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেন পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম। গতকাল দুপুরেছবি: প্রথম আলো

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক নেতা ও মেডিকেল কলেজের দুজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিনভর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ওই ১০ জন অবস্থান নিয়েছিলেন। হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম ও কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার এসব তথ্য জানান।


গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা এবং আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সরবরাহ, আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে ভয়-ভীতি, হুমকি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, শিক্ষক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলন দমনে যাঁরা একটি অপশক্তির দোসর হিসেবে কাজ করেছেন, যেসব চিকিৎসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তাঁদের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে যান এবং দাবি বাস্তবায়নের জন্য সেখানে বিক্ষোভ করেন।

হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের দুই বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চারজন চিকিৎসককে বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম জানান, যাঁদের ইন্টার্নশিপ বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান, সাদমান বাকির, প্রীতম দেবনাথ, অর্ঘ্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলাম। বদলি করার সুপারিশ করা চিকিৎসকেরা হলেন জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুমার হালদার, আবাসিক সার্জন ও স্বাচিপের জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসরেফুল ইসলাম, চিকিৎসক কর্মকর্তা শিরীণ সাবিহা ও ইন্টারন্যাল মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন ইউনিট-৪) এ এস এম সায়েম।

শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার জানান, স্বাচিপের জেলা সভাপতি জি এম নাজিমুল হক ও সহকারী অধ্যাপক সৌরভ সুতারের বদলির দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি আবেদন করেছেন। ওই আবেদনের কপি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url